মণিরাজ ঘোষ, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১ অক্টোবর: পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা স্বাস্থ্য দপ্তরের সর্বশেষ (৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২০ পর্যন্ত) রিপোর্ট অনুযায়ী, জেলায় মোট করোনা আক্রান্তের (Corona Update, Paschim Medinipur) সংখ্যা দশ হাজার অতিক্রম করে গেল! এই মুহূর্তে (বৃহস্পতিবার সকালে পাওয়া রিপোর্ট অনুযায়ী), জেলায় মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা হল- ১০,০০৬। তবে, প্রায় ৮৫ শতাংশ হারে ইতিমধ্যে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন, ৮২২৩ জন। চিকিৎসাধীন বা সক্রিয় করোনা রোগীর সংখ্যা মাত্র, ১৫৬৬ জন। এর মধ্যে, জেলার বিভিন্ন করোনা হাসপাতাল ও সেফ হোম মিলিয়ে চিকিৎসাধীন আছেন, ৩২৪ জন এবং উপসর্গহীন ১২৪২ জন হোম আইসোলেশন বা গৃহ নিভৃতবাসেই আছেন। গত চব্বিশ ঘণ্টায় পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায় ২ জনের মৃত্যু হয়েছে! জেলায় সরকারিভাবে মোট মৃত্যু’র সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৫৭ জন।
এদিকে, গত ২৯ সেপ্টেম্বর ‘পজিটিভ’ রিপোর্ট এসেছে খড়্গপুর লোকাল থানার ওসি (Officer in Charge) মহঃ আসিফ সানি (৩২)’র। গতকাল (৩০ সেপ্টেম্বর), অতিরিক্ত মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ডাঃ দেবাশীষ পাল জানিয়েছিলেন, “পুলিশ আধিকারিকের কাশি ও গলা ব্যথার উপসর্গ ছিল। তবে, আপাতত তিনি হোম আইসোলেশনে আছেন।” এরপরই, প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, যেহেতু তাঁর কাশির উপসর্গ আছে, তাই কোনোরকম ঝুঁকি নেওয়া হয়নি, রাতেই কলকাতার এক বেসরকারি হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এই বিষয়ে নিশ্চিত করেছেন খড়্গপুর মহকুমা পুলিশ আধিকারিক সুকোমল কান্তি দাস (Sukamal Kanti Das) তিনি জানিয়েছেন, কলকাতার বেসরকারি হাসপাতালে (আমরি’তে) পাঠানো হয়েছে কোভিড যোদ্ধা আসিফ সানিকে (Asif Sunny)। তবে, তিনি স্থিতিশীল বলেও জানা গেছে। অপরদিকে, সম্প্রতি (২৭ সেপ্টেম্বর, রবিবার) খড়্গপুরে একটি দলীয় সভায় যোগ দিতে এসেছিলেন, অভিনেতা ও তৃণমূলের যুব কংগ্রেসের প্রথমসারির রাজ্য নেতা সোহম চক্রবর্তী (Soham Chakraborty)। সভায় অনেকের মুখেই ছিলনা মাস্ক। আর, দূরত্ব বিধি বজায় তো দূর অস্ত! সভামঞ্চ থেকে সোহম বারবার আবেদন করার পরও, কাজ হয়নি। কলকাতায় ফিরে গিয়ে শারীরিক অস্বস্তি অনুভব করেন অভিনেতা ও তৃণমূল নেতা সোহম। এরপরই, মঙ্গলবার তাঁর করোনা পরীক্ষা করা হয়, রিপোর্ট পজিটিভ আসে! কোনোরকম ঝুঁকি না নিয়ে, তাঁকে ই এম বাইপাসের ধারে এক বেসরকারি হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তবে, আপাতত তিনি সুস্থ আছেন জানিয়ে টুইট করেছেন সোহম নিজেই। তিনি জানিয়েছেন, “আমি অনেকটাই সুস্থ আছি। চিকিৎসকেরা আমার প্রতি মুহূর্তে খেয়াল রাখছেন।” তবে, তাঁর সংস্পর্শে যাঁরা এসেছেন, তাঁদের তিনি আইসোলেশনে থাকার এবং করোনা পরীক্ষা করানোর পরামর্শ দিয়েছেন। সেই সূত্রে, খড়্গপুর শহরের বেশ কিছু নেতা করোনা পরীক্ষা করানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছন এবং তাঁরা হোম আইসোলেশন বা গৃহ নিভৃতবাসে আছেন বলেও জানা গেছে।