দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, শালবনী, ১৯ জানুয়ারি: গ্রামীণ কৃষি ব্যবস্থায় সমবায় সমিতির গুরুত্ব অপরিসীম। কৃষকদের ঋণ প্রদান সহ নানা সুযোগ-সুবিধা দানের জন্যই কৃষিভিত্তিক বাংলায় সমবায় সমিতি গড়ে উঠেছে এবং সাফল্যের সঙ্গে এগিয়ে চলেছে। এই সমবায় পরিষেবাকে আরো শক্তিশালী ও ত্রুটিমুক্ত পরিষেবা প্রদানের উপযুক্ত করে গড়ে তুলতে, সরকারি সহায়তা বা সহযোগিতার প্রয়োজন। গ্রামীণ আর্থ সামাজিক প্রেক্ষাপটে সমবায় সমিতিকে কাজে লাগিয়ে পঞ্চায়েতের নানা উন্নয়নমূলক কর্মসূচির রূপদান, সমবায়কে ব্যাঙ্কিং ব্যবসায় স্বীকৃতি প্রদান, সমবায় আইন মেনে সঠিক সময়ে নির্বাচিত (মনোনীত নয়) বোর্ড গঠন, যথসময়ে এস এইচ জি ও কেসিসি ঋণের ভর্তুকির টাকা ফেরত দেওয়া, কৃষিতে বিদ্যুতের মাশুল হ্রাস এবং সমবায় কর্মীদের রোপা ১৯ অনুযায়ী বেতন কাঠামো ও পেনশন-স্বাস্থ্যবীমা সহ নানা সুযোগ-সুবিধা প্রদান প্রভৃতি দাবিতে আগামী ২৮ শে জানুয়ারি (বৃহস্পতিবার) নবান্ন অভিযানের ডাক দিয়েছে “পশ্চিমবঙ্গ সমবায় কর্মসূচি সমিতি।”
২৮ শে জানুয়ারির সমবায় আন্দোলন বা নবান্ন অভিযান সফল করার উদ্দেশ্যে, জঙ্গলমহল পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার শালবনী ব্লক কমিটি সম্প্রতি তাদের প্রথম সম্মেলনে এই সমস্ত দাবিদাওয়া গুলি নিয়ে আলোচনা করল। গত ১৭ ই জানুয়ারি শালবনী ব্লকের পিড়াকাটায় অবস্থিত ‘বুড়িপালা সমবায় সমিতি’র হলে অনুষ্ঠিত এই সম্মলনে, নবান্ন অভিযান ও সমবায় কর্মীদের নানা দাবিদাওয়া নিয়ে আলোচনা হয় বলে জানিয়েছেন বুড়িপালা সমবায় সমিতির ম্যানেজার তথা ব্লক কমিটির অন্যতম পদাধিকারী প্রশান্ত পলমল। তিনি জানিয়েছেন, “গ্রামীণ অর্থনীতিকে শক্তিশালী করতে সমবায় সমিতির গুরুত্ব অপরিসীম। এই বিষয়ে সরকারের আরও গুরুত্ব প্রয়োজন। একইসাথে সমবায় কর্মীদের জীবন ও জীবিকার নিরাপত্তাও প্রয়োজন। তাই এই নবান্ন অভিযান সফল করতে, জঙ্গলমহল থেকে আমরাও উপস্থিত হব।”