দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, ঝাড়গ্রাম ও পশ্চিম মেদিনীপুর, ২৪ জানুয়ারি:একই দিনে দুই জেলায় দুটি মর্মান্তিক পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হল দুই ব্যক্তির! দুটি ক্ষেত্রেই ঘাতক সেই পিকাপ ভ্যান। বারে বারে নিয়ন্ত্রণহীন গাড়ি চালানোর অভিযোগ উঠছে এই গাড়ি চালকের বিরুদ্ধে। আজ সকালে পশ্চিম মেদিনীপুরের বেলদা থানার সালাজপুর এলাকায় পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে এক প্রৌঢ়ের! স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মৃত ব্যক্তির নাম দুলাল সাউ। তিনি একজন চিকিৎসকের অধীনে সহায়ক হিসাবে কাজ করতেন। সাইকেলে চেপে রাস্তা পারাপার হওয়ার সময়ে দাঁতনগামী তীব্র গতিতে আসা একটি পিকাপ ভ্যান সজোরে তাঁকে ধাক্কা মারলে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় দুলাল বাবুর। পরে জাতীয় সড়কে রাস্তা পারাপারের সময়ে নিরাপত্তার দাবিতে স্থানীয় বাসিন্দারা জাতীয় সড়ক অবরোধ করেন। শেষ পর্যন্ত, বেলদা থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দিলে অবরোধ তুলে নেওয়া হয়। এদিকে দাঁতন থানার পুলিশ ঘাতক গাড়ি ও তার চালককে আটক করেছে। মৃতদেহটি ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে পুলিশ।

অপরদিকে, হাসপাতালে ভর্তি দাদাকে মাছ ভাত খাওয়াতে গিয়ে পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হল ভাইয়ের। পথ দুর্ঘটনার জেরে রণক্ষেত্রের চেহেরা নেয় এলাকায়। উত্তেজিত জনতা অগ্নিসংযোগ করে ঘাতট গাড়িতে! বেশ কিছুক্ষণ অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে পাঁচ নম্বর রাজ্য সড়ক। রবিবার সকালে ঝাড়গ্রাম থানার জিতুশোল এলাকায় এই দুর্ঘটনাটি ঘটে। মৃত ব্যক্তির নাম বিজয় মাহাত (৩২), পেশায় লরি চালক। স্থানীয় সূত্রে জানা যায় , এদিন সকালে মোটরবাইকে করে বিজয় সব্জি ও মাছ বাজার করে লোধাশুলি থেকে ফিরছিলেন। জিতুশোল এলাকায়, ঝাড়গ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্মীয়মাণ গেটের সম্মুখে লোধাশুলি গামী একটি পিকাপ ভ্যান নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে মুখোমুখি ডিজয়ের মোটরবাইককে ধাক্কা মারে! ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় বিজয়ের। তারপরেই উত্তেজিত জনতা পিকাপ ভ্যানটিতে আগুন লাগিয়ে দেয়। এর ফলে ঝাড়গ্রাম-বাঁকুড়া পাঁচ নম্বর রাজ্য সড়ক অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয়, ঝাড়গ্রাম থানার আইসি পলাশ চট্টোপাধ্যায় ও বিশাল পুলিশ বাহিনী। ঘটনাস্থলে দমকলের একটি ইঞ্জিন এসে পিকাপ ভ্যানের আগুন নেভায়। ততক্ষণে ভস্মীভূত হয়ে যায় ওই পিকাপ ভ্যান। পুলিশ জানিয়েছে গাড়ির চালক পলাতক৷

মৃত বিজয়ের পরিবার সূত্রে জানা যায়, বিজয়ের দাদা দীপক মাহাত মোহনপুর গ্রামীন হাসপাতালে ভর্তি আছে। এখন শরীর কিছুটা ভালো থাকায়, আজ মাছ ভাত খেতে চেয়েছিল দীপক। তাই, দাদাকে মাছ ভাত খাওয়ানোর জন্য এদিন সকালে বিজয় লোধাশুলি বাজারে গিয়েছিল মাছ কেনার জন্য। মাছ ও সব্জি বাজার সেরে বাড়ি ফেরার পথেই মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় ভাই বিজয়ের। বিজয়ের স্ত্রীও দুই সন্তান রয়েছে। পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ছিল সে। বিজয়ের মৃত্যুতে শোকস্তব্ধ ও অসহায় হয়ে পড়েছে পরিবারের সকলেই!







