দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, সবং (পশ্চিম মেদিনীপুর), ৩ অক্টোবর: পৌরসভা নির্বাচনের অনেক আগেই পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার রাজনৈতিক পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠল! শুক্রবার (২ অক্টোবর) সবংয়ে (Sabang) অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি তৈরি হল! সবং ১১ নং অঞ্চলের মোহাড়ে, তৃণমূলের দলীয় কর্মীরা যখন নিজেদের পার্টি অফিসে বসে মিটিং করছিলেন, ঠিক সেই সময় পাশের ময়না ব্লকের বাকচা থেকে একদল দুষ্কৃতী এসে, বোমা-বন্ধুক-লাঠি নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ে এবং তৃণমূলের পার্টি অফিস লক্ষ্য করে বোম মারতে শুরু করে বলে অভিযোগ তৃণমূল কর্মীদের। এরপরই তাদের পার্টি অফিসে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয় এবং পার্টি অফিসের সামনে দাঁড়ানো একাধিক (প্রায় ২০ টি বলে অভিযোগ) মোটরসাইকের জ্বালিয়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। ৫-৬ জন তৃণমূল কর্মী’কে লাঠিসোটা দিয়ে ভয়ানক ভাবে মারধোরও করা হয়! যাদের মধ্যে ৫ জনকে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে স্থানান্তরিত করা হয়। কিন্তু, ২ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাদের এন আর এসে পাঠানো হয়, রাজ্য নেতৃত্বের নির্দেশে। রাত্রি প্রায় ১১ টা নাগাদ, মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে দাঁড়িয়ে তৃণমূল যুব কংগ্রেসের জেলা সহ-সভাপতি নির্মাল্য চক্রবর্তী জানান, ৫ জন তৃণমূল কর্মীকে নির্মমভাবে মারা হয়েছে। হাত-পা-মাথায় গুরুতর চোট আছে। তৃণমূল কংগ্রেসের কো-অর্ডিনেটর ও যুব সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে তাঁদের কলকাতার এনআরএস হাসপাতালে পাঠানো হচ্ছে।
স্থানীয় তৃণমূল কর্মীদের অভিযোগ, দিলীপ ঘোষের মিটিং ছিল সবংয়ের বুরালে। সেই মিটিংয়ে যোগ দিতে আসার পথেই বিজেপি দুষ্কৃতীর এই ঘটনা ঘটিয়েছে বলে অভিযোগ। এই ঘটনাকে “পৈশাচিক” আখ্যা দিয়েছেন তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ ডাঃ মানস রঞ্জন ভূঁইয়া! জেলা সভাপতি অজিত মাইতিও অভিযোগ করেন, “দিলীপ ঘোষের উস্কানিতেই বিজেপি’র গুন্ডাবাহিনী এই ঘটনা ঘটিয়েছে।” যদিও, তৃণমূলের ঘাড়েই উল্টো দোষ চাপিয়ে দিলীপ ঘোষ জানিয়েছেন, “যেখানে যেখানে আমাদের মিটিং হওয়ার কথা ছিল, সব জায়গায় তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা গন্ডগোল পাকানোর চেষ্টা করেছে।” ঘটনাস্থলে বিশাল পুলিশ বাহিনী টহল দেওয়ার কাজ শুরু করেছে বলে জানা যায়।