দ্য বেঙ্গল পোস্ট বিশেষ প্রতিবেদন, আশিস মন্ডল, ১৩ অক্টোবর: পশ্চিমবঙ্গ কলেজ ক্যাজুয়াল এমপ্লয়ীজ সমিতির সদস্যরা তাদের বেশকিছু দাবি নিয়ে রাজ্য সরকারের দ্বারস্থ হয় দীর্ঘ ৪ বছর ধরে। কিন্তু, কোনো সুরাহা না হওয়ার তারা রাজ্যজুড়ে জেলায় জেলায় অনশনে বসেছে। কলকাতা, বর্ধমান সহ বিভিন্ন জেলায় এই আন্দোলন শুরু হলেও গতকাল থেকে ঝাড়গ্রাম ও পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার সমস্ত কলেজের ক্যাজুয়াল কর্মচারীরা পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার ডেবরা কলেজের সামনে অনশনে বসেন। এই কর্মচারীদের না আছে সরকারী স্বীকৃতি, না আছে ৬০ বছরের কর্মনিশ্চয়তার নিরাপত্তা। রাজ্য সরকারের বিভিন্ন দপ্তরের ক্যাজুয়াল কর্মীদের ক্ষেত্রে বর্তমান সরকার 3998 F(P2) নির্দেশনামা জারি করে স্বীকৃতি ও নিরাপত্তা প্রদান করলেও, উচ্চশিক্ষা দপ্তরের অধীন কলেজের ক্যাজুয়াল কর্মীদের ক্ষেত্রে তা কার্যকরী হয়নি।
তাই, গত ৮ দিন ধরে চলা (পশ্চিম মেদিনীপুর ও ঝাড়গ্রামের ক্ষেত্রে গতকাল থেকে চলা) এই অনশন মঞ্চ থেকে তারা দাবি তুলছেন- কলেজে কর্মরত ক্যাজুয়াল কর্মচারীদের সরকারী স্বীকৃতি প্রদান এবং ৬০ বছরের কর্মনিশ্চয়তার নিরাপত্তা। সমিতির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে, রাজ্য সরকারি আদেশনামা 3998 F(P2) বহু আগে জারি হলেও, কলেজগুলোতে তা লাগু হয়নি। সেটির দাবিতেই এই অনশন। যতক্ষন পর্যন্ত না দাবি পূরণ হয়, এই অনশন চলবে।
সমিতির পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার পক্ষে সুমিত চৌধুরী বলেন, “পশ্চিমবঙ্গ কলেজ ক্যাজুয়াল এমপ্লয়ীজ সমিতির পক্ষ থেকে সরকারের কাছে সরকারি স্বীকৃতির দাবিতে এবং 3998 F(P2) লাগুর দাবিতে আমাদের অনসন কর্মসূচি সারা রাজ্য জুড়ে শুরু হয়েছে। পূর্ব বর্ধমান জেলায় আজ নবমদিনে পড়ল । ঝাড়গ্রাম ও পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার পক্ষ থেকে আমারা দ্বিতীয় দিনে অনশন চালিয়ে যাচ্ছি। আমাদের আন্দোলন চলবে যতদিন না পর্যন্ত আমরা সরকারের কাছ থেকে দাবি আদায় করতে পারছি। গতকাল থেকে অনশন মঞ্চে অনেক কর্মচারী অসুস্থ হয়ে পড়লেও, এখনো অবধি সরকারের দিক থেকে কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি।” এদিকে, আজ বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে দেখা যায়, জেলার অনশন মঞ্চে অস্থায়ী শিক্ষাকর্মীদের ছোট শিশু সহ তাদের পরিবারের মানুষও উপস্থিত হয়েছেন। এমনকি আজ কলকাতার ট্রাম লাইনে শুয়েও অনেকে প্রতিবাদ অনশন করেছেন।