মণিরাজ ঘোষ, শালবনী, ১৭ সেপ্টেম্বর: জেলা জুড়ে একের পর এক ‘করোনা যোদ্ধা’ সংক্রমিত হচ্ছেন। করোনা মহামারী
প্রতিহত করতে, সেই লকডাউনের প্রথম দিন (২৪ শে মার্চ) থেকে যাঁরা বুক চিতিয়ে লড়াই করেছেন, পুলিশ কর্মীরা তাঁদের মধ্যে অন্যতম। লকডাউন সফল করতে রাস্তায় নেমে নিজেদের কর্তব্য পালন থেকে শুরু করে, অভুক্তদের কাছে খাদ্যসামগ্রী
পৌঁছে দেওয়া, পরিযায়ী শ্রমিকদের বাড়ি পৌঁছানোর ব্যবস্থা করা কিংবা ফিরে এলে কোয়ারেন্টিনের উদ্যোগ নেওয়া, সংক্রমিতদের হাসপাতালে পাঠানোর বিষয়ে তদারকি করা, সংক্রমিতদের এলাকায় কনটেইনমেন্ট জোন করা এবং অন্যান্য
বিষয়গুলি দেখাশোনা করা; আর তার সাথে এলাকার সার্বিক নিরাপত্তার বিষয়টি খতিয়ে দেখা, এভাবেই সমাজ রক্ষক পুলিশ কর্মীরা, করোনা যুদ্ধেও প্রথম সারির যোদ্ধা হিসেবে লড়াই করে গেছেন। আর, সেই যুদ্ধক্ষেত্র থেকেই কেউ কেউ
সংক্রমণ নিয়ে ফিরেছেন! অদৃশ্য শত্রু’র সাথে ফের এক লড়াই, সুস্থ হওয়ার। সেই লড়াইতেই সদ্য হারাতে হয়েছে জেলার প্রথম করোনা শহীদ পুলিশকর্মী অতনু প্রামাণিক (এস আই)’কে। গত ১৫ ই সেপ্টেম্বর, সবং থানার সেকেন্ড অফিসার তথা মেজোবাবু করোনা আক্রান্ত হয়ে প্রয়াত হয়েছেন! এর মাঝেই, আরো এক দুঃসংবাদ ছুটে এল জঙ্গলমহলের কাছে। শালবনী থানার অধীন পিড়াকাটা পুলিশ পোস্ট বা পুলিশ বীট হাউসের বড়বাবু (ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক, ইনচার্জ) এবং মেজোবাবু (সেকেন্ড অফিসার) একসাথে করোনা সংক্রমিত হলেন! আইসি বিশ্বজিৎ মন্ডল (এস আই, বয়স ৪০) এবং সেকেন্ড অফিসার উৎপল
সিংহ মহাপাত্র (এস আই, বয়স ৪৭), দু’জনের রিপোর্টই বুধবার (১৬ সেপ্টেম্বর) রাতে পজিটিভ এসেছে। দু’জনই স্বল্প উপসর্গযুক্ত বলেও জানা গেছে।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গত কয়েকদিন ধরে দুই পুলিশ অফিসারেরই জ্বর ও গা-হাত-পা ব্যাথা’র উপসর্গ দেখা দিয়েছিল। তাই, গত ১৫ ই আগস্ট মঙ্গলবার, তাঁরা শালবনীতে গিয়ে নমুনা দিয়ে এসেছিলেন, আরটি-পিসিআর টেস্টের
জন্য। গতকাল (১৬ সেপ্টেম্বর) রাতে, মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজের ভিআরডিএল থেকে তাঁদের যে রিপোর্ট পৌঁছয়, তাতে দেখা যায় দু’জনই করোনা সংক্রমিত। আপাতত দু’জনই সুস্থ আছেন বলে তাঁরা জানিয়েছেন। আগামীকাল
সকালে তাঁদের করোনা হাসপাতালে পাঠানো হতে পারে বলে জানা গেছে শালবনী থানা সূত্রে।






