দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, মেদিনীপুর, ২০ সেপ্টেম্বর: যত্রতত্র থুতু কিংবা পান ও গুটখা’র পিক ফেলা দণ্ডনীয় অপরাধ, এটা আমরা আজ নয়, ছোট থেকেই শিখে আসছি। প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সরকারি বইগুলির পেছনেও, এই সতর্কতামূলক বাণী লিপিবদ্ধ থাকতো। আজ, করোনা আবহে সেই সতর্কীকরণ বিজ্ঞপ্তি’ই বড্ড প্রাসঙ্গিক হয়ে উঠেছে। যত্রতত্র থুতু বা পান-গুটখা’র পিক ফেলার বিষয়ে, বাংলা-বিহার-ঝাড়খন্ড ও উত্তরপ্রদেশের দুর্নাম বরাবরের! যেকোনো, হাসপাতাল বা সরকারি অফিস চত্বর এর জানান দেয়। বাকি, রাস্তাঘাট বা সর্বসাধারণের ব্যবহৃত জায়গাগুলি সম্পর্কে, যত কম বলা যায়, ততই ভালো! করোনা মহামারী প্রতিহত করার অন্যতম সতর্কীকরণ বিজ্ঞপ্তি হলো, যত্রতত্র থুতু ও পান-গুটখা’র পিক ফেলা থেকে বিরত থাকতে হবে। এই বিষয়ে দেশবাসীকে সচেতন করতেই ভারত সরকারের “ফিট ইন্ডিয়া ফ্রিডম রান” (Fit India Freedom Run) কর্মসূচি শুরু হয়েছে, স্বাধীনতা দিবসের (১৫ আগস্ট) দিন থেকে, চলবে গান্ধী জয়ন্তী (২ অক্টোবর) পর্যন্ত। এই কর্মসূচির অংশ হিসেবে, পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায় সর্বপ্রথম একটি “ভার্চুয়াল রান” এর আয়োজন করলো, ইউ যোগা একাডেমী। এর নাম, “নো স্পিটিং এ্যাওয়ারনেস রান”।

মেদিনীপুর শহরের, স্পোর্টস কমপ্লেক্সে আয়োজিত এই কর্মসূচির মধ্য দিয়ে, সচেতনতার বার্তা দেওয়ার পাশাপাশি, ২ মিনিটের দৌড়ের ভিডিও করে সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচার করছে ইউ যোগা একাডেমী। ইতিমধ্যে, প্রচুর সাধারণ মানুষ এই ভার্চুয়াল দৌড়ে অংশ নিয়েছেন। উদ্যোক্তাদের পক্ষ থেকে, পরাগ মুখার্জি ও শম্ভুনাথ আঢ্য জানালেন, রাস্তাঘাটে থুতু ফেলা একটি সামাজিক ব্যাধি। এর ফলে ছড়িয়ে পড়ে নানা রোগ। বর্তমানে কোভিড মহামারীর বাড়বাড়ন্তের জন্যও যত্রতত্র থুতু ফেলা অনেকাংশে দায়ী। পান মশলা এবং গুটখা সেবনে যেমন মুখের ক্যান্সার হয়, তেমন এর থুতু থেকে সমাজের অন্যান্য মানুষ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়। এই সচেতনতার প্রসার এই ‘ভার্চুয়াল রান’ এর উদ্দেশ্য।” শিশু থেকে মধ্যবয়স্ক, জেলার বহু মানুষ ইতিমধ্যে এই দৌড়ে অংশগ্রহণ করেছেন। রবিবার সকালে, শহরের স্পোর্টস কমপ্লেক্স থেকে কিছু দৌড়বিদ এই সচেতনতার বার্তা ছড়িয়ে দেন। আরো বেশি করে সাধারণ মানুষ যাতে এতে অংশগ্রহণ করেন, তার আহ্বান জানানো হয়েছে। এই ভার্চুয়াল দৌড় চলবে পুরো সেপ্টেম্বর মাস জুড়ে, জানিয়েছেন উদ্যোক্তারা।





