দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, মেদিনীপুর, ২৩ সেপ্টেম্বর: রাজ্যের বিভিন্ন সরকার পোষিত মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক বিদ্যালয়ের চুক্তি ভিত্তিক আংশিক সময়ের শিক্ষকদের সংগঠন, পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য আংশিক সময়ের বিদ্যালয় শিক্ষক সংগঠন বা (State Part-time Teachers Association) SPTTA এর রাজ্য সভাপতি সমীর দেওঘরিয়ার নেতৃত্বে ১৬ সেপ্টেম্বর থেকে ২২ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত, প্রতিটি জেলায় ডিআই অফিস বা শিক্ষা ভবনে নিজেদের বিভিন্ন দাবি নিয়ে ডেপুটেশন কর্মসুচি গ্রহণ করা হয়েছিল। মেদিনীপুর শহরে অবস্থিত পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা শিক্ষা ভবনের সামনেও গতকাল (২২ সেপ্টেম্বর), এই কর্মসূচি পালন করেন, আংশিক সময়ের শিক্ষক-শিক্ষিকারা। তাঁদের প্রধান দাবি, আংশিক সময়ের কলেজ শিক্ষকরা যদি, স্থায়ীত্ব, মর্যাদা ও উপযুক্ত বেতন পেতে পারেন, তবে তাঁরা (আংশিক সময়ের স্কুল শিক্ষকরা) কেন বঞ্চিত! অবিলম্বে, তাঁদেরও স্থায়িত্ব ও মর্যাদা দেওয়া হোক।
মেদিনীপুর ডি.আই অফিসের সামনে দাঁড়িয়ে কয়েকশো আংশিক সময়ের শিক্ষক-শিক্ষিকা দাবি করলেন, বিভিন্ন স্কুল কমিটি তাঁদের নিয়োগ করেছেন। কলেজের আংশিক সময়ের শিক্ষকদেরও কলেজ কমিটি নিয়োগ করেছিল। কিন্তু, তাদের স্থায়িত্ব ও উপযুক্ত সাম্মানিক বেতনসহ মর্যাদা দেওয়া হয়েছে, কিন্তু তাঁদের বেতন মাত্র ১০০০ টাকা থেকে ৩০০০ টাকা মাসিক ভাতা দেওয়া হয়! লকডাউনের সময়, সেই বেতনও তাঁরা প্রতি মাসে পাচ্ছেন না। এই অবস্থায় তাঁদের অবস্থা মর্মান্তিক! অথচ, শিক্ষকতা ছাড়াও তাঁদের অন্যান্য অনেক কাজ করতে হয়। তাই তাঁদের দাবি, মুখ্যমন্ত্রী যেন তাঁদের কথাও একটু বিবেচনা করেন। সংগঠনের পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা সভাপতি মৃগাঙ্ক চক্রবর্তী বলেন, “আমরা সারা রাজ্য জুড়ে ৭ দফা দাবিতে পথে নেমেছি। স্থায়ীকরণ, উপযুক্ত মাসিক সাম্মানিক প্রদান, অবসরকালীন ভাতা প্রদান, স্বাস্থ্য সাথীর আওতায় নিয়ে আসা, বকেয়া সাম্মানিক প্রদান, স্থায়ী শিক্ষকদের মতোই উৎসব ভাতা প্রদান এবং আন্দোলনরত অবস্থায় বাদ দেওয়া শিক্ষকদের পুনরায় নিযুক্ত করা। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে আমাদের আবেদন, কলেজ শিক্ষক থেকে শুরু করে বিভিন্ন দপ্তরের অস্থায়ী কর্মচারীদের মতোই আমাদেরও স্থায়ীকরণ এবং উপযুক্ত সাম্মানিক প্রদানের কথা ভাবা হোক।”