সুদীপ্ত দাস, শালবনী, ৯ সেপ্টেম্বর : তৃণমূলের নির্বাচিত সদস্যাকে দীর্ঘ দিন ধরে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের অভিযোগ উঠল তাঁর স্বামীর বিরুদ্ধে। পঞ্চায়েত সদস্যার অনিচ্ছা সত্ত্বেও গর্ভের সন্তানকে নষ্ট করার মতো বিস্ফোরক অভিযোগ উঠল পেশায় প্রাথমিক শিক্ষক স্বামীর বিরুদ্ধে। অভিযোগ নিয়ে ইতিমধ্যেই মেদিনীপুরের কোতোয়ালি থানার দ্বারস্থ হয়েছেন, কাকলি সামন্ত দাস নামে শালবনী পঞ্চায়েত সমিতির অন্তর্গত বিষ্ণুপুর ২ নম্বর অঞ্চলের পঞ্চায়েত সদস্যা।
তৃণমূল কংগ্রেসের শালবনী ব্লকের অন্যতম নেত্রী কাকলি সামন্ত (দাস) এর অভিযোগ, তাঁর সাথে শালবনীর ভাউদী প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষক শান্তনু দাসের (রেজিঃ) বিয়ে হয় ২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারী মাসে। এরপর থেকে মেদিনীপুর শহরের রাঙামাটিতে ভাড়াবাড়িতে কাকলি’দেবীর সাথে সংসার পেতেছিলেন শান্তনু দাস। দিন কয়েক সব ঠিকঠাক থাকার পরেই কাকলি সামন্ত (দাস) এর উপরে অত্যাচার শুরু হয় বলে অভিযোগ। এদিকে, কাকলি ততদিনে অন্তঃসত্ত্বা হয়েছেন। একথা জানার পর, নিত্যদিনের শারীরিক অত্যাচার বা নির্যাতনের সঙ্গে চলতি বছর জুলাই মাস থেকে শুরু হয়, ভুল বুঝিয়ে ওষুধ খাইয়ে গর্ভপাত করানোর প্রচেষ্টা। একজন হাতুড়ে ডাক্তারের সাহায্যে, শান্তনু’র সেই প্রচেষ্টা সফলও হয় বলে অভিযোগ কাকলির! এর পরই গত ১৮ আগস্ট তিনি মেদিনীপুর কোতোয়ালি থানায় শান্তনু দাসের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ (এফ আই আর) দায়ের করেন। যদিও ঘটনার পর থেকেই মেদিনীপুর ছাড়া শান্তনু দাস। ইতিপূর্বে, গত ১৪ আগস্ট শালবনীর মেমুলে নিজের সামাজিক-স্বীকৃতি হীন শ্বশুরবাড়িতে গিয়েও বিচার পাননি কাকলি। এতসবের পর, প্রশাসনের কাছেও সুবিচার চেয়ে এখনো পাননি শাসকদলের এই নেত্রী, এমনটাই অভিযোগ তাঁর। ঘটনার পর, পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগও তুলেছেন তৃণমূলের এই পঞ্চায়েত সদস্যা। দলের শীর্ষ নেতৃত্বকে ইতিমধ্যেই গোটা বিষয়ে জানিয়েছেন কাকলি সামন্ত (দাস)। পাশে থাকার বার্তা দিয়েছে, দলীয় নেতৃত্ব। অভিযুক্তের অবিলম্বে শাস্তির দাবি জানিয়েছেন শালবনী পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি তথা তৃণমূল নেত্রী মিনু কোয়ারী থেকে শালবনী’র প্রথম সারির নেতা কাশেম খান। দলের নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি যদিই “ডোমেস্টিক ভায়োলেন্স” বা সামাজিক নির্যাতনের শিকার হন, তবে সাধারণ মহিলাদের সুরক্ষা কোথায়, প্রশ্ন তুলছে বিভিন্ন মহল! ঘটনা নিয়ে রীতিমতো শোরগোল পড়ে গিয়েছে জেলার রাজনৈতিক মহলে।