দ্য বেঙ্গল পোস্ট বিশেষ প্রতিবেদন, মণিরাজ ঘোষ, ১ মার্চ: কেন্দ্রীয় সরকারের প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী, আজ, ১ লা মার্চ থেকে দেশজুড়ে শুরু হল তৃতীয় পর্যায়ের টিকাকরণ। দেশের একজন সাধারণ ষাটোর্ধ্ব নাগরিক হিসেবে তৃতীয় পর্যায়ের টিকাকরণ কর্মসূচিতে (Vaccination Programme) অংশগ্রহণ করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। বর্তমানে তার বয়স ৭০ (জঃ ১৯৫০ এর ১৭ ই সেপ্টেম্বর)। দেশীয় সংস্থা ভারত বায়োটেক (Bharat Biotech) ও ICMR এর যৌথ উদ্যোগে প্রস্তুত কোভ্যাক্সিনের (Covaxin) প্রথম ডোজ টি আজ সকাল ৬ টা ৩৫ মিনিটে নিলেন প্রধানমন্ত্রী। তাঁকে ভ্যাকসিন দেন পুদুচেরির নার্স পি নিভেদা৷ ভ্যাকসিন নেওয়ার পর, নিজেই ট্যুইট করে জানালেন কোভ্যাক্সিন নেওয়ার কথা৷ নিয়ম অনুযায়ী, ৩৫ মিনিট পর্যবেক্ষণে থাকার পর, সকাল ৭ টার সময় তিনি নিজের বাসভবন ৭ লোক কল্যাণ মার্গের উদ্দেশ্যে রওনা দেন।

প্রসঙ্গত, দেশের প্রতিটি নাগরিককে ধাপে ধাপে করোনা ভ্যাকসিন প্রদানের যে অঙ্গীকার করেছিল কেন্দ্রীয় সরকার, সেই অঙ্গীকার পূরণে তাঁরা যে দায়বদ্ধ, দেশজুড়ে গণ-টিকাকরণ কর্মসূচি শুরু হওয়ার পর তা উপলব্ধ হচ্ছে। আজ থেকে তৃতীয় পর্যায়ের যে টিকাকরণ কর্মসূচি শুরু হয়েছে সেখানে ষাটোর্ধ্ব নাগরিক এবং ৪৫ থেকে ৫৯ পর্যন্ত অসুস্থ বা কো-মর্বিডিটি থাকা নাগরিকরা অংশগ্রহণ করতে পারবেন। Co-win অ্যাপ (Application) ডাউনলোড করে, সেখানে রেজিস্ট্রেশন (Registration) করতে হবে। তবে, আরোগ্য সেতু অ্যাপের মাধ্যমেও এই রেজিস্ট্রেশন হবে বলে জানা গেছে। এক্ষেত্রে, সরকারি হাসপাতালে সম্পূর্ণ বিনামূল্যে এবং বেসরকারি হাসপাতালের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ২৫০ টাকা (প্রতি ডোজ) মূল্য বেঁধে দেওয়া হয়েছে, কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তরফে। উল্লেখ্য যে, স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি আজ ভ্যাকসিন নেওয়ার পর, দেশবাসীকে ভ্যাকসিন নিতে উদ্বুদ্ধ করেছেন। তিনি টুইট করে টিকাকরণের সঙ্গে যুক্ত দেশের চিকিৎসক, গবেষকদের কাজেরও ভূয়সী প্রশংসা করেন। যেভাবে তাঁরা একজোট হয়ে মহামারীর বিরুদ্ধে যুদ্ধ চালিয়েছেন এবং দ্রুত ভ্যাকসিন নিয়ে এসে সকলকে আশ্বস্ত করেছেন সেই কথাও টুইটে উল্লেখ করেছেন প্রধানমন্ত্রী।

এদিকে, সারা দেশের সাথে সাথে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলাতেও শুরু হল এই তৃতীয় পর্যায়ের টিকাকরণ কর্মসূচি। এর আগে, প্রথম পর্যায়ে, স্বাস্থ্যকর্মী এবং দ্বিতীয় পর্যায়ে পুলিশ, সাংবাদিক সহ প্রথম শ্রেণীর করোনা যোদ্ধারা ভ্যাকসিন নিয়েছেন সফলভাবে। তবে, অনেকেরই দ্বিতীয় ডোজ নেওয়া বাকি আছে। এর মধ্যেই, আজ মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ, শালবনী গ্রামীণ হাসপাতাল, ঘাটাল মহকুমা হাসপাতাল, খড়্গপুর মহকুমা হাসপাতাল এবং ডেবরা গ্রামীণ হাসপাতাল সহ জেলার ৫ টি কেন্দ্রে এই টিকাকরণ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়। জেলার উপ মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ডাঃ সৌম্যশঙ্কর সারেঙ্গী জানিয়েছেন, “ষাটোর্ধ্ব নাগরিক এবং ৪৫ থেকে ৫৯ বছর বয়স পর্যন্ত কো-মর্বিডিটি থাকা নাগরিকরা এই পর্যায়ে ভ্যাকসিন নিতে পারবেন। Co-win বা Arogya Setu apps এ রেজিস্ট্রেশন করে অথবা সরাসরি উপরোক্ত কেন্দ্রগুলোতে নাম নথিভুক্ত করে, এই ভ্যাকসিন নেওয়া যাবে। আজ থেকে এই প্রক্রিয়া সফলভাবে শুরু হয়েছে।”








