দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, কলকাতা, ২৪ জানুয়ারি: অবশেষে খুলতে চলেছে রাজ্যের স্কুলগুলি। করোনা অতিমারীর দিন গুলি অতিক্রম করে বাংলার হাতেও এসেছে করোনা ভ্যাকসিন। দৈনিক সংক্রমণের হার তলানিতে পৌঁছেছে। কোনও কোনও জেলাতে তা ‘শূণ্য’ হয়ে গেছে। করোনা হাসপাতালগুলিও প্রায় খালি! এই পরিস্থিতিতে, রাজ্যের স্কুল শিক্ষা দপ্তর সিদ্ধান্ত নিয়েছে ফেব্রুয়ারি থেকে বিদ্যালয়ে পঠন পাঠন শুরু করার বিষয়ে। আর, অনলাইন বা ভার্চুয়ালি নয়, এবার শ্রেণীকক্ষেই সরাসরি ক্লাস করবেন শিক্ষক-শিক্ষিকারা। ছাত্র-ছাত্রীরা কোভিড বিধি মেনে, মাস্ক পরে বিদ্যালয়ে আসবে। তার আগে, রাজ্যের প্রতিটি বিদ্যালয় স্যানিটাইজ বা জীবাণুমুক্ত করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। তাই, স্কুল খোলার বিষয়ে নবান্ন তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনুমতি চেয়ে স্কুল শিক্ষা দপ্তর চিঠি পাঠিয়েছে বলে জানা গেছে বিভিন্ন সূত্র মারফত। এমনিতেই, বিদ্যালয়ে এখন শিক্ষক-শিক্ষিকাদের আসতে হচ্ছে রোটেশন বা রোস্টার মেনে। মিড-ডে মিলের সামগ্রীও দেওয়া হচ্ছে সেই জুন মাস থেকে। যদিও, অভিভাবকরাই তা নিতে আসেন। তবে, বিভিন্ন স্কুল ইতিমধ্যে দশম ও দ্বাদশ ছাত্র-ছাত্রীদের নিয়ে কোচিং ক্লাস করানোর উদ্যোগ গ্রহণ করেছিল, কিন্তু শিক্ষা দপ্তরের নির্দেশে তা বন্ধ হয়ে গেছে! এবার, অভিভাবক ও ছাত্র-ছাত্রীদের দাবিতেই শিক্ষা দপ্তর নড়েচড়ে বসেছে বলে মনে করা হচ্ছে।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, মার্চ মাস থেকে জানুয়ারি মাস প্রায় ১১ মাস বন্ধ ছিল স্কুল। পড়াশোনা হয়েছে অনলাইনে। সবথেকে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, নবম থেকে দ্বাদশের পড়ুয়ারা। এদিকে, উচ্চ মাধ্যমিক ও একাদশ শ্রেণির প্র্যাকটিক্যাল পরীক্ষার বিষয়ের তালিকা পৌঁছেছে প্রত্যেক স্কুলে স্কুলে। উল্লেখ্য যে, উচ্চমাধ্যমিক ও একাদশ শ্রেণির লিখিত পরীক্ষা চলবে ১৫ জুন থেকে ৩ জুলাই পর্যন্ত। প্র্যাকটিক্যাল পরীক্ষা হবে, ১০ থেকে ৩১ মার্চের মধ্যে। ২০ এপ্রিলের মধ্যে ছাত্র-ছাত্রীদের প্রাপ্ত নম্বর সংসদে পাঠাতে হবে। এই অবস্থায় ছাত্র-ছাত্রীদের অন্তত কিছুদিন অনুশীলন দরকার বলে দাবি করেছেন শিক্ষকরা। সর্বোপরি, বিদ্যালয় বাদ দিয়ে রাজ্যে সবকিছুই খুলে গেছে এবং মেলা, খেলা, পার্ক, পিকনিক, রাজনৈতিক মিটিং-মিছিল জমিয়ে ছলছে! তাই, এবার শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের (Partha Chatterjee) কাছে স্কুল খোলার দাবি লিখিতভাবে পৌঁছেছে। এই পরিস্থিতিতে অবশেষে বিদ্যালয় খোলার সিদ্ধান্ত নিতে চলেছে রাজ্য সরকার, এমনটাই অনুমান করা হচ্ছে।