দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, কলকাতা, ১ ডিসেম্বর: বিভিন্ন প্রকল্প নিয়ে জনগণের দুয়ারে দুয়ারে পৌঁছে যাচ্ছে রাজ্য সরকার। কর্মসূচির নাম দেওয়া হয়েছে, “দুয়ারে সরকার।” শিক্ষাশ্রী, কন্যাশ্রী ঐক্যশ্রী, কৃষক বন্ধু, স্বাস্থ্য সাথী, খাদ্য সাথী, জয় জোহার কি নেই সেই কর্মসূচিতে? শুধু নেই বেকারদের চাকরির বা কর্মসংস্থানের কোনো নিশ্চয়তা! এদিকে, গত ৪-৫ বছর ধরে শিক্ষক পদপ্রার্থীরা বেকারত্বের জ্বালা বুকে নিয়ে কখনও বা আন্দোলনে নামছেন, হতাশাগ্রস্ত হয়ে কেউবা আত্মহত্যার পথ বেছে নিচ্ছেন। শিক্ষক নিয়োগ যদিওবা কখনো শুরু হয়, বিভিন্ন দুর্নীতির অভিযোগে ‘মামলার গেরোয়’ আটকে যায়! আপার প্রাইমারি শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে তাই হয়েছে। ২০১৫ তে পরীক্ষা হয়েছে, ২০১৬ তে রেজাল্ট বেরিয়েছে। সেই নিয়োগ প্রক্রিয়া এখনো সম্পন্ন হয়নি! এদিকে, মামলার চূড়ান্ত রায় এখনও আদালতের দরজায় আটকে। এমনই এক জটিল পরিস্থিতিতে, অবিলম্বে রাজ্য সরকারকে উদ্যোগ নিয়ে, মামলা মিটিয়ে এবং স্বচ্ছভাবে নিয়োগ করতে হবে, এই দাবিতে আজ (১ ডিসেম্বর) আজ কলকাতার রাজপথ উত্তাল হয়ে উঠেছে। স্কুল সার্ভিস কমিশনের সদর দপ্তর “আচার্য সদন” এর সামনে এখন হাজার হাজার হবু শিক্ষক স্লোগান তুলেছেন, “আর কোনও প্রতিশ্রুতি নয়, অবিলম্বে স্বচ্ছভাবে নিয়োগ চাই।”
পূর্বয়ঘোষিত সূচি অনুযায়ী, আপার প্রাইমারি বা উচ্চ প্রাথমিকের শিক্ষক পদপ্রার্থীরা, যথাসময়ে সল্টলেকে করুণাময়ী বাস স্ট্যান্ডে পৌঁছে যান। সেখান থেকেই মিছিল করে, আচার্য সদন এবং বিকাশ ভবনের সামনে যাওয়ার কথা ছিল শিক্ষক পদপ্রার্থীদের। তারপর, স্মারকলিপি তুলে দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু, আজ সকালে যখন একজন দু’জন করে চাকরিপ্রার্থী জড়ো হচ্ছিলেন, সেই সময় পুলিশ তাদের পাকড়াও করে, বিধাননগর পুলিশ কমিশনারেটে নিয়ে যায়। এদিকে ততক্ষণে হাজার হাজার প্রার্থী জড়ো হয়ে গেছে। আন্দোলন কারীদের পাশে দাঁড়াতে উপস্থিত হয়েছেন সিপিআইএমের বিধায়ক সুজন চক্রবর্তী সহ বিভিন্ন নেতৃত্ব। দেখতে দেখতেই, তিলোত্তমার বুকে আছড়ে পড়ল এই সময়ের সবথেকে বড় শিক্ষক আন্দোলনের ঢেউ! এখনও পর্যন্ত পুলিশ প্রশাসনের লোক ছাড়া, শিক্ষা দপ্তর কিংবা স্কুল সার্ভিস কমিশন দপ্তরের আধিকারিকরা নীরব দর্শকের ভূমিকায়।