দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, মেদিনীপুর, ২৪ ডিসেম্বর : ঐতিহ্যমণ্ডিত মেদিনীপুরের অন্যতম আকর্ষণ বড়দিনের চার্চের মেলা! করোনা কারণে এবার তা বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছ কর্তৃপক্ষ। কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, অতিমারীর পরিস্থিতিতে, এই বছর শহরের চার্চ স্কুলের মাঠে ২৫ শে ডিসেম্বর থেকে সপ্তাহব্যাপী ধরে চলা সুবৃহৎ মেলা হচ্ছে না। এই মেলায়, শুধু মেদিনীপুর শহর পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা নয়, জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে প্রচুর দর্শনার্থী বা মেলা প্রিয় মানুষ এবং ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা সমবেত হতেন। ভিড় বা জনসমাগমের নিরীখে অবিভক্ত মেদিনীপুরের অন্যতম সেরা ছিল এই মেলা। শুধু মেলা নয়, মেলার প্রথমদিন ও শেষদিন, যথাক্রমে ২৫ শে ডিসেম্বর ও ৩১ শে ডিসেম্বর আতশবাজি’র প্রদর্শন উপলক্ষে, লক্ষাধিক মানুষের সমাগম হত। আর এই কারণেই এবার সংক্রমণের ভয় থেকেই যাচ্ছে। তাই, মেলা ও আতসবাজির প্রদর্শন এবার বন্ধ থাকবে বলে জানিয়েছেন, চার্চের সম্পাদক ভিনসেন্ট লোবো। তবে, বড়দিন উপলক্ষে চার্চের বাকি সমস্ত আচার-অনুষ্ঠান অপরিবর্তিত থাকবে। চার্চের উপাসনাগৃহ সাজিয়ে তোলার কাজ শুরু হয়েছে গত সোমবার থেকে। চার্চের সামনে তৈরি হচ্ছে প্যান্ডেল। দর্শনার্থীরা স্বাস্থ্যবিধি মেনে উপাসনা এবং বড়দিন পালন করতে পারবেন। ইতিমধ্যে, রঙিন আলোয় সাজিয়ে তোলা হয়েছে গোটা চার্চটি।

Whatsapp Group এ


অপরদিকে, চার্চের মেলা না হওয়ার মন খারাপের মধ্যেই এবার অন্যতম আকর্ষণ হতে চলেছে, মেদিনীপুর শহরের গোপগড় ইকো পার্ক। সেখান, গড়ে উঠেছে ক্লক টাওয়ার। ভ্রমণার্থীদের সুবিধার্থে এবং পার্কটিকে আকর্ষণীয় করে তুলতেই ইকোপার্কে এই ঘড়ি টাওয়ার বসানো হয়েছে বলে জানা গেছে। পর্যটকদের কাছে টানতেই এই উদ্যোগ বলে জানিয়েছেন কর্তৃপক্ষ। সময় দেখানো ছাড়াও, আকর্ষণীয় এই টাওয়ারের ঘড়িটিতে লাগানো বেল বা ঘন্টাটি প্রতি ঘন্টায় বাজবে। তাই, পিকনিকের মরশুমে এই ক্লক টাওয়ার যে পর্যটকদের কাছে অন্যতম আকর্ষণ হতে চলেছে, তা বলাই বাহুল্য!
