দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, দাসপুর, ৯ নভেম্বর : বন্দুক সহ এক পাখি শিকারি পাকড়াও পশ্চিম মেদিনীপুরে! সাতটি মৃত বক ও একটি মৃত ঘুঘু পাখি ও বন্দুক সহ যুবককে আটক করে গ্রামবাসীরা তুলে দেন বন দপ্তরের হাতে। রবিবার ঘটনাটি ঘটেছে পশ্চিম মেদিনীপুরের দাসপুর এলাকায়। বনদপ্তর ওই যুবককে আটক করে নিয়ে যায়। বন দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত যুবকের নাম শেখ সাইফুল। সূত্রের খবর অনুযায়ী, রবিবার সাতসকালে দাসপুরের হাজরাবেড় এলাকায় বন্দুক নিয়ে এক ব্যক্তিকে পাখি শিকার করতে দেখেন স্থানীয় কয়েকজন যুবক। প্রকাশ রাণা কর্মকার ও তাঁর দুই বন্ধু সৌরভ পাত্র, কৃষ্ণেন্দু গোস্বামী ওই যুবককে প্রথমে দেখে। এরপর, গ্রামবাসীদের সাহায্যে ওই পাখি শিকারী কে আটকে খবর দেন বনদপ্তরে। প্রকাশ রাণা কর্মকার বলেন, “একজন চিকিৎসকের জন্য দাঁড়িয়ে ছিলাম। দেখি ওই যুবক এবন্দুক দিয়ে একটি বক মেরে, কুড়াতে যায়। তখন আমরা ওকে আটকায়।”
প্রসঙ্গত, ঘাটাল দাসপুর এলাকায় শীতের মরশুমে বিভিন্ন প্রজাতির পাখি আসে জলাশায় গুলিতে। সেকারনেই অনেকে ফাঁদ পেতে বা বন্দুক দিয়ে পাখি শিকার করে বলে অভিযোগ। অভিযুক্ত শেখ সাইফুল বলেন, “আজই প্রথম বেরিয়েছি। শুনেছি পাখির মাংস খেতে ভালো লাগে, তাই পাখি মারা বন্দুক নিয়ে সাইকেলে করে বেরিয়েছিলাম!” অভিযুক্ত শেখ সাইফুলের এই অজুহাতে মাথায় হাত সংশ্লিষ্ট সকলের। শুধুমাত্র পাখির মাংস খেতে এভাবে বাস্তুতন্ত্র উপেক্ষা করে নিরীহ প্রাণীকে (এক্ষেত্রে পাখি) এভাবে হত্যার ঘটনা প্রসঙ্গে, স্থানীয় বন দপ্তরের রেঞ্জ অফিসার বিশ্বনাথ মুদিকরা বলেন, “গ্রামবাসীরা খবর দেওয়ার পর আমরা গিয়ে অভিযুক্তকে আটক করে নিয়ে এসেছি। বন্দুকটি দাসপুর থানার পুলিশের কাছে জমা দেওয়া হয়েছে। উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানানো হয়েছে।” পরিবেশপ্রেমী রাকেশ সিংহ দেব বললেন, “বন্যপ্রাণ সংরক্ষণ আইন বা ওয়াইল্ড লাইফ প্রটেকশন অ্যাক্ট 1972 অনুযায়ী এই কাজ দণ্ডনীয় অপরাধ। পরিবেশ বান্ধব বা প্রকৃতির অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ এই প্রাণী হত্যার উপযুক্ত শাস্তি হওয়া উচিত।”