দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১২ মে: মর্মান্তিক পথ দুর্ঘটনায় প্রয়াত হলেন শালবনী পঞ্চায়েত সমিতির কৃষি, সেচ ও সমবায় কর্মাধ্যক্ষ লক্ষ্মীকান্ত ঘোষ (লক্ষ্মী দা নামেই পরিচিত ছিলেন)। শালবনী ব্লক তৃণমূলের সহ সভাপতিও ছিলেন লক্ষ্মীকান্ত বাবু। দলীয় সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার সন্ধ্যা নাগাদ শালবনী ব্লকের জলহরির কাছে দুর্ঘটনাটি ঘটে। নিজের বাইক নিয়ে রাজ্য সড়কের উপর গিয়ে মাথায় গুরুতর আঘাত পান তিনি। প্রথমে একটি বেসরকারি হাসপাতাল, তারপর সেখান থেকে মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু, অবস্থা গুরুতর হওয়ায় কলকাতার পিজি’তে নিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন দলীয় নেতৃত্ব। কলকাতায় যাওয়ার পথে, গভীর রাতে মৃত্যু হয় তৃণমূল কংগ্রেসের এই প্রবীণ নেতার। মৃত্যুকালে বয়স হয়েছিল ৬০।


Whatsapp Group এ

সূত্রের খবর অনুযায়ী, শালবনী ব্লকের জাড়ার বাসিন্দা লক্ষ্মীকান্ত বাবু নিজের বাইকে করে, জাড়া থেকে পিড়াকাটার দিকে কাজে গিয়েছিলেন। সন্ধ্যা নাগাদ ফেরার পথে জলহরির কাছে (বাড়ি থেকে মাত্র ৩ কিলোমিটার আগে) দুর্ঘটনার কবলে পড়েন। রাজ্য সড়কের উপরই পড়ে যান তিনি। ঘটনাস্থলেই অচৈতন্য হয়ে পড়েন। মাথায় মারত্মক আঘাত পান। নাক-কান দিয়ে রক্ত বেরিয়ে যায় বলেও জানা গেছে। এরপর, স্থানীয়রাই উদ্ধার করে মেদিনীপুর শহরে পাঠানোর ব্যবস্থা করেন। প্রথমে একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়, সেখান থেকে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে স্থানান্তরিত করা হয়। কিন্তু, অবস্থা গুরুতর হওয়ায় কলকাতায় নিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত হয়! যদিও রাস্তাতেই তাঁর মৃত্যু হয় বলে জানিয়েছেন শালবনী পঞ্চায়েত সমিতির পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ সন্দীপ সিংহ। এই ঘটনায় গভীর শোক প্রকাশ করেছেন, শালবনী ব্লক তৃণমূলের সভাপতি তথা জেলার বন ও ভূমি কর্মাধ্যক্ষ নেপাল সিংহ, শালবনী পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি মিনু কোয়াড়ি প্রমুখ। শোকার্ত স্ত্রী ও পুত্র তন্ময় ঘোষের পাশে থাকার বার্তা দেওয়া হয়েছে দলীয় নেতৃত্বের তরফে।









