মণিরাজ ঘোষ, পশ্চিম মেদিনীপুর, ৩০ মে: জোরকদমে চলছে মেদিনীপুর-খড়্গপুরের সংযোগস্থলে অবস্থিত মোহনপুর ব্রিজ (বীরেন্দ্রনাথ শাসমল সেতু) সংস্কারের কাজ। লকডাউনকে কাজে লাগিয়ে দ্রুত সম্পন্ন করার চেষ্টা চলছে সেতুর উপরের অংশের প্রধান প্রধান কাজগুলি, এমনটাই জানালেন জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষের ডিভিশন- ২ এর ভারপ্রাপ্ত ইঞ্জিনিয়ার প্রলয় চক্রবর্তী। তবে, এই মুহূর্তে সেতুর একটা সাইড বন্ধ রেখে, আরেকটা সাইডে বা পাশে কাজ করা হচ্ছে বলেই ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে যাত্রীদের। একদিকে, চৌরঙ্গী থেকে মোহনপুর ব্রিজ পর্যন্ত অন্যদিকে কেরানীচটি থেকে মোহনপুর ব্রিজ পর্যন্ত কয়েক কিলোমিটার জুড়ে সারি সারি দাঁড়িয়ে পড়ছে ট্রাক এবং চারচাকাগুলি। যদিও, এই ভোগান্তি শুরু হয়েছে প্রায় মাস দুয়েক ধরে। তবে, ট্রাফিক পুলিশ রেখে, ‘যানজট’ নিয়ন্ত্রণ করে, যানবাহন পারাপার করা হচ্ছে বলে কিছুটা হলেও সমস্যা কমেছে বলে জানিয়েছেন যাত্রীরা। তাঁদের মতে, “সময় বেশি লাগছে, হয়তো অতিরিক্ত ২০-৩০ মিঃ অপেক্ষা করে কাটাতে হচ্ছে, তবে পুলিশ আছে বলেই এটুকু নিশ্চিন্ত যে সেতুটি পারাপার করতে পারব। আর, রাস্তা বা সেতু সংস্কারের কাজ তো করতেই হবে, এতো স্বাভাবিক ব্যাপার। তবে, কর্তৃপক্ষের কাছে একটাই আবেদন, যত দ্রুত সম্ভব সেতুর উপরের রাস্তার কাজ শেষ করা হোক।”

প্রসঙ্গত, গুরুত্বপূর্ণ এই মোহনপুর ব্রিজ বা বীরেন্দ্রনাথ শাসমল সেতু সংস্কারের জন্য বছরখানেক আগেই কয়েক কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছিল। কাজ শুরু হতে কিছুটা সময় লেগেছিল। তবে, এই মুহূর্তে করোনা অতিমারীর মধ্যেই জোরকদমে চলছে কাজ। আধিকারিক প্রলয় চক্রবর্তী জানিয়েছেন, “করোনার মধ্যে অনেক বিপত্তি কাটিয়ে কাজ চালিয়ে যেতে হচ্ছে। এজন্য পুলিশ প্রশাসনের অবদানও কম নয়। খুব দ্রুত কাজ করা হচ্ছে। তবে, যশের কারণে, মাঝখানে দু’দিন কাজ প্রায় বন্ধ রাখা হয়েছিল। এই মুহূর্তে সেতুর উপরে ঢালাইয়ের কাজ চলছে। আগামী ৭ দিনের মধ্যে তা শেষ হয়ে গেলে, পিচ ঢালার কাজ করা হবে। তখন শুধু রাতের দিকে কাজ করা হবে। দিনের বেলায় যাত্রীদের ভোগান্তি কমে যাবে।” তবে, আগামী ১৫ ই জুন পর্যন্ত লকডাউন বৃদ্ধি হওয়ায়, কিছুটা হলেও ভোগান্তি বা যানজট কম বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্ট সকলেই। অন্যদিকে, এই যানজট-ভোগান্তির মধ্যেও অ্যাম্বুল্যান্স গুলিকে ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে দ্রুত পারাপার করে দেওয়া হচ্ছে বলে জানানো হয়েছে প্রশাসনের তরফে।