দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, হুগলি, ১২ নভেম্বর : সমস্যার সূত্রপাত সিঙ্গুরের নতুন ব্লক কমিটিতে দলের ব্লক সভাপতি নির্বাচনকে ঘিরে। তাতে দেখা যায়, যিনি সিঙ্গুরের ব্লক সভাপতি ছিলেন সেই মহাদেব দাসকে (রবীন্দ্রনাথ ভট্টাচার্যের ঘনিষ্ঠ) সরিয়ে সভাপতি নির্বাচিত করা হয়েছে, গোবিন্দ ধাড়াকে (বেচারাম মান্নার ঘনিষ্ঠ)। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে প্রবীণ নেতা রবীন্দ্রনাথবাবু প্রশ্ন করেন, “কোন কারণে মহাদেব দাসকে এই পদ থেকে অপসারণ করা হল? সে সততার সঙ্গে কাজ করছিল বলে বাকিদের সমস্যা হচ্ছিল?” তাঁর অভিযোগ, “যাঁরা দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত, তারা দলে নেতৃত্ব দেবেন; আর যাঁরা সৎ, দলে তাঁদের জায়গা নেই!” বরিষ্ঠ রাজনৈতিক রবীন্দ্রনাথবাবু দল ছাড়ারও হুমকি দেন। সূত্রের খবর অনুযায়ী, এরপরই গতকাল রাতে তৃণমূল নেতৃত্বের তরফে (একটি অংশের দাবি খোদ দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়) তাঁকে ফোন করে রীতিমতো ভর্ৎসনা করা হয় এবং জানিয়ে দেওয়া হয়, আগামীদিনে তাঁকে বিধানসভার টিকিট দেওয়া হবে না! এরপরই কান্নায় ভেঙে পড়েন বেচারাম। আজ দুপুরে গিয়ে বিধানসভার অধ্যক্ষকে ইস্তফাপত্র জমা দেন বলে খবর।


Whatsapp Group এ

সূত্রের খবর অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার দুপুরে বিধানসভায় এসে অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাতে পদত্যাগপত্র তুলে দিয়েছেন বেচারাম মান্না। তবে, এই বিষয়ে কোনও বিবৃতি পাওয়া যায়নি অধ্যক্ষের পক্ষ থেকে। সূত্রের খবর, শুক্রবার সিঙ্গুরে গণ–পদত্যাগ করবেন বেচারাম মান্নার অনুগামীরা। অপরদিকে, আর একটি সূত্রের খবর অনুযায়ী, বিধানসভায় ইস্তফাপত্র জমা দেওয়ার পরই, তৃণমূল ভবনে ডাক পড়ে বেচারাম মান্নার। সেখানেই, রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সীর সঙ্গে মুখোমুখি বসলে, আপাতত সমস্যার সমাধান হয় বলে জানা যায়। যদিও, এই বিষয়ে বিন্দুমাত্র কিছু জানা যায়নি বেচারাম কিংবা তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্বের তরফে।









